কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ
আগামী ৬ জুলাই ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া-বেতাগীর স্বপ্নের ফেরি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, শিল্প মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এমপি) প্রধান অতিথি হিেেসবে এ ফেরি উদ্বোধন করবেন।
ফেরি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ এমাদুল হক মনিরের নেতৃত্বে কচুয়া ফেরিঘাট জনসভার স্থান পরিদর্শন ও মঞ্চ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। এ সময় প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব মোঃ আতিকুর রহমান রুবেল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, কাঠালিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার, আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিঠু সিকদারসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ০২ জুলাই কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবন্দসহ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ফেরি উদ্বোধনী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ দিনের আশার আলো কাঠালিয়ায় কচুয়া-বেতাগী ফেরি মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে। বর্তমান সরকার সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন করার লক্ষে কাজ করছেন। এ ফেরি চালু হলে সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
দক্ষিণঞ্চলের,পটুয়াখালী,পায়রা সমুদ্রবন্দর, কুয়াকাটা, বরগুনা, বেতাগী, কাঠালিয়া, রাজাপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, খুলনা, যশোর,পিরোজপুর, বাগেহাট, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। এমনকি এ ফেরি পরাপার যশোরের বেনাবল হয়ে সরাসরি ভারতের সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে।
৬ জুলাই উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে থাকছেন প্রধান প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা এর একেএম মনির হোসেন পাঠান, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ শেখ নাবিল হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ এমাদুল হক মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামান বদু সিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান উজির সিকদার প্রমূখ।
ইতোমধ্যে ফেরি পাড়াপাড়ে টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ট্রেইলার ২৫০, হেভি ট্রাক ২০০, মিডিয়াম ট্রাক ১০০, বড় বাস ৯০, মিনিট্রাক ৭৫, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহন ৬০, মিনিবাস-কোস্টার ৫০, মাইক্রোবাস ৪০, ফোর হুইল যানবাহন ৪০, সিডান কার ২৫ এবং ৩-৪ চাকার মোটরাইজড যান ১০ ও মোটরসাইকেল, সাইকেল, রিকশা, ভ্যান ৫ টাকা হারে।