নলছিটি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাচা ভাতিজাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় নলছিটি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আহতের ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার নলছিটি থানায় নামধারী সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন
আসামিরা হলো, মিজানুর রহমান, মামুন, বেলায়েত, আলমগীর, হেমায়েত, রিপন খা, এবং জাহিদ। এছাড়া আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার রানাপাশার চর ইসলামাবাদ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, ওই এলাকার মৃত হাজী নাজেম আলী হাওলাদার এর ছেলে পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ফরিদ হোসেন এবং তার ভাতিজা নয়ন হাওলাদার।
এদের মধ্যে গুরুতর ফরিদ কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ভাতিজার নয়ন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
মামলার বিবরণ ও আহত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদ ও তার পরিবারদের সাথে জমি জমা নিয়ে প্রতিপক্ষ হেমায়েতের ছেলে মিজানুর রহমান রাজা ও তার পরিবারদের বিরোধ চলে আসছে।
বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে ঝালকাটি বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি ফরিদ হোসেনের বড় ভাই ফারুক হোসেনের পরিবারের উপর রাজার চাচা বেলায়েত হোসেন ও তার সহযোগীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হামলা চালিয়ে ফারুক ও তার মেয়েকে আহত করে। সেই মামলায় মামলা দায়ের করা হলে বেলায়েত দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস খাটতে হয়।
আদালত থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আসামি বেলায়েত। গত ১৫ জুলাই শুক্রবার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেলায়েত ও তার ভাতিজা মিজানুর রহমান রাজা, মামুন এবং তাদের সহযোগী আলমগীর জাহিদ, রিপন খা সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন সহযোগী পরিকল্পিতভাবে চর ইসলামাবাদ এলাকায় ফরিদ হোসেনকে হত্যার চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এ সময় ফরিদের ডাক চিৎকারে ভাতিজা নয়ন আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করেন বেলায়েত সহ অন্যান্য সহযোগীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সেখানে ফরিদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নলছিটি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।