আন্তজার্তিক ডেক্সঃ বিবাহিত হোক বা না হোক, কোনও নারী এবং পুরুষের মধ্যে শারীরিক মিলন ঘটার ক্ষেত্রে সম্মতি থাকতেই হবে বলে রায় দিয়েছেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে এই যুগান্তকারী রায় দেন আদালত। খবর বিবিসির।
যে নারীর মামলায় এই রায় দেয়া হয়েছে, তার অভিযোগ, তিনি অসুস্থ থাকলেও তার স্বামী তাকে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। কেরালা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কওসার এডাপ্পাগাথ এবং বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক তাদের রায়ে বলেন, স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া স্বামীর এই কর্মকাণ্ড বৈবাহিক ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে।
তারা রায়ে আরও বলেন, এই বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদেরও ন্যায়সঙ্গত কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ যেখানে ধর্ষিতা ও ধর্ষকের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকে, সেটাকে কোনও অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না।
কিন্তু কেরালা হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলছে, এটাকে চরম নৃশংসতা বলে গণ্য করাই যায়- যার ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনও মঞ্জুর করা সম্ভব। নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, ভারতসহ এ অঞ্চলের পাকিস্তান, বাংলাদেশ সব দেশেই সামাজিকভাবে একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে, স্ত্রীরা বৈবাহিক ধর্ষণের বিরুদ্ধে মুখ খুললে পরিবারের ধারণাটাই ভেঙে পড়বে। তবে কেরালা হাইকোর্টের রায় সেই ধারণাকে কিছুটা হলেও পাল্টাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন অনেকে।