মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পদ্মাসেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তর করতে যাচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ঘাট স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে রো রো ফেরি না চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবারও সকাল থেকে এই নৌরুটে ছোট মাত্র পাঁচটি ফেরি দিয়ে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে যাবতীয় যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তাছাড়া এই নৌরুটের বহরের থাকা ১৭টি ফেরির মাত্র পাঁচটি অর্থাৎ ১২ টি ফেরি সরিয়ে ফেলা হয়েছে দলদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে।
পদ্মা সেতুর পিলারে পরপর ৫ বার ফেরির ধাক্কার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
তীব্র স্রোতের কারণে তৈরি ঘূর্ণিই ফেরির বারবার ধাক্কার কারণ উল্লেখ করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ফেরি চলাচলের পথে পদ্মা সেতু এলাকা এড়ানোর জন্য বাংলাবাজার ঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। এই ঘাটটি শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি ঘাটে নেওয়া হবে। এতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে।
চার দিনের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ফেরি কাকলির ধাক্কা লাগে। ওইদিন সকালে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।
অই দিন শুক্রবার সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের দেয়া বক্তব্যয় বলেছেন, ‘হালকা আঘাত লাগলেও আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি না। চালকদের দায়িত্বে উদাসীনতার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পদ্মা সেতু পুরোপরি চালু হলে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের বাঁধ রক্ষায় শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দিতে ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।
প্রতিমন্ত্র মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট সহ শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট পরিদর্শন করেন।
এ সময় নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক এবং পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ব্রিগেড প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।