আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মন্ত্রীদের গণপদত্যাগের জের ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। দলীয় সংসদ সদস্যদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স ও ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সহকর্মীদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন বরিস।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ বক্তৃতাকালে বরিস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে তার কনসারভেটিভ পার্টি যত দিন না নতুন নেতা নির্বাচিত করছে, তত দিন তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন।
দুদিন আগে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। তখন পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন বরিস জনসন। তবে এরপর একযোগে ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করলে জনসন সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। শেষপর্যন্ত দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন তিনি।
সেই সঙ্গে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। পরে এক ভাষণে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার সময় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলঅ হয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সময়সীমা ঘোষণা করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন।
তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দেয়।
সূত্রঃ বাংলা ভিশন।