কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র উখিয়ার উপজেলার কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস। তিনি জানান, আতংকের কারণে পরিক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তণ করা হয়েছে। পরিক্ষার্থীদের ভীতি কাটাতে এবং মন-মানসিকতার কথা বিবেচনা করে এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারারের ছোঁড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত ও সাত ৭ জন আহত হয়। এর আগে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশির পা উড়ে যায়। এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের সিধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজিও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, পরিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই কারণে এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে। সেটি বিস্ফোরণে সেখানে বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সময় আরও পাঁচ জন আহত হয়। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কোনার পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে ঘুমধুম ইউপির ২নং ওয়ার্ড কোনার পাড়া এলাকার সীমান্তে। ওই এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল। সেটির বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে ওই রোহিঙ্গা নিহত হন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে পড়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই মিঠুন সিংহ জানান, মর্টারশেলটি সীমান্তে বিস্ফোরিত হওয়ার সংবাদ শুনেছি। তবে এ ঘটনায় আহত বা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।