হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
রোববার (০৬ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এছাড়া দেশি-বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মামুনুল হকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ৬ মামলায় ১৮ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ওই মামলায় জান্নাত আরা ঝর্ণা যে বক্তব্য দিয়েছে আমরা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই বক্তব্যর সত্যতা পেয়েছি। যদিও এটি একটি বিচারাধীন বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকতারা।
তিনি আরও বলেন, ঝর্ণাকে বিয়ের সাক্ষী, কাবিননামা, দেনমোহর এমন কি কোনো লিখিত কিছুই মামুনুল হকের কাছে নেই। তার একাধিক বাড়িঘর ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে যার কোনো আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। প্রতিমাসে সে এক কোটি টাকা অনুদান পেত। ধারণা করা হচ্ছে- অনুদানের সে টাকা দিয়েই বাড়িঘর করেছে।