চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর পাকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা ঘাটে বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু হলেও মায়ের কোলে থাকা তাজরিন বেঁচে গেছে।
চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলছে- ‘আমার আব্বা ও আম্মা কই? আমি আম্মুর কাছে যাব। আব্বুকে চকলেট আনতে কইব। নতুন জামা নিব। তোমরা আমাকে ছাড়ো।’
তাজরিন বজ্রপাতের ঘটনায় নারায়ণপুর ডাইলপাড়া গ্রামের মৃত সাদেকুল ইসলাম সাদেক ও টকিয়ারা বেগমের মেয়ে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তাজরিনের আব্বা সাদেকুল ইসলাম সাদেক, আম্মা টকিয়ারা বেগম, দাদা তোবজুল হক, দাদি জমিলা বেগম, ফুফু লেচন, ফুপাতো ভাই বাবলু, চাচাতো ভাই বাবুলসহ পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়।
তাজরিনের ফুফাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবারের ঘটনায় যখন মৃত ও আহতদের উদ্ধার কাজ চলছিল, তখন তাজরিন জীবিত অবস্থায় শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছিল। আমরা তাকে জীবিত দেখে অবাক হয়েছিলাম এবং তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।
আব্দুল বাসির তার যমজ ছেলে-মেয়ে মবিন, ময়না ও মৃত লেচন বেগমের পাঁচ বছরের ছেলে হাবিব বেঁচে যায়। এদের দেখতে তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত নারী-পুরুষ।