জনতার খবর ডেক্সঃ
আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী বলেন, আমার এ বার্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিন। খুব দ্রুত আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
আজ ১৬ জুন বুধবার দুপুরে আদনানের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আবেদন জানান।
তিনি আরও বলেন, আমি এই অঙ্গনের মানুষও না। আমার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত লেটার দেয়া হয়েছে। আমি ডিবি অফিস র্যাব সদর দফতরে গিয়েছি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স গিয়েছি। প্রত্যেককে আমার পক্ষ থেকে লেটার দেয়া হয়েছে।
আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান নিরীহ মানুষ, কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। হয় তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন, নতুবা আমাকে তার পর্যন্ত পৌঁছে দিন। তার ব্যাপারে কথা বলারও কেউ থাকবে না।
এছাড়া আমি র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে র্যবের ডিজি স্যারের সাথে দেখা করেছি এসেছি। উনি আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের কাছে নেই। খোঁজ পেলে জানাবে। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি কি মনে করেন তিনি প্রশাসনের কাস্টডিতে আছে? আমি বলেছি, না। আমি এমন মনে করে আপনাদের শরণাপন্ন হইনি। আপনি তাকে খুঁজে বের করতে পারবেন সে আশা নিয়ে এসেছি। আপনারা চাইলেই অল্প সময়ের ভেতর তাকে খুঁজে বের করতে পারবেন।
তবে আমার ধারণা, এটা অবশ্যই প্রাইভেট কোনো সংস্থার কাজ হতে পারে না। প্রাইভেটভাবে তাকে গুম করা হয়েছে এমন হতে পারে। প্রশাসন চাইলে তাকে অল্প সময়ের ভেতর খুঁজে বের করতে পারে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান। তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন দেখে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গত ৯ জুন বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় দুই সহকর্মী ও গাড়িচালক সহ নিখোঁজ হন আদনান।
আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী জানান, তিন বা সাড়ে তিনটায় তিনি বের হয় বগুড়ার উদ্দেশ্যে একটা প্রোগ্রামে যান। সাথে ফিরোজ ও মুহিত নামে দু’জন ছিলো। ড্রাইভার আমির ড্রাইভ করছিলো। প্রোগ্রাম শেষ করে তার ঢাকা ফেরার কথা ছিলো। চারটার পর তাকে কল করে কী খাবা জানতে চাইলে তিনি রেগে যান। রেগে বলেন, কোথায় আছি, কেমন আছি জিজ্ঞাসা না করে কী খাবো এ প্রশ্ন করতেছো। আমার মনে হচ্ছে আমার পেছনে দুইটা বাইক আমাকে ফলো করতেছে। আমি যেন নিরাপদে বাসায় পৌঁছাতে পারি সে দোয়া করো।
এর কিছুক্ষণ পরে উনি নিজেই কল করে জানায়, রান্না করো আমরা চারজন আসতেছি। বাইকগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। এর মাঝেও কথা হয়। কতটুকু আসলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাধারণত ম্যাপের স্ক্রিনশট নিয়ে পাঁঠিয়ে দেয় হোয়াটস অ্যাপে। সেদিনও অনেকগুলা ম্যাপ শেয়ার করেছে। লাস্ট কলগুলো সম্ভবত ঘুমিয়ে থাকার জন্য তিনি রিসিভ করতে পারেননি। উনার লাস্ট ম্যাপ শেয়ার টাইম ছিলো ২টা ৩৭ এ। যে জায়গা দেখাচ্ছিলো তাতে ১৮ মিনিট এর ভেতর তিনি মিরপুর ইন করবে দেখাচ্ছিলো। পরে ৪টার দিকে তার ফোন সুইচ অফ পাই। এরপর আমিরের ফোনও সুইচ অফ পাই।