টানা ভারী বর্ষণে বাঁকখালী নদীর প্রবল ¯্রােতের কারনে ভাংতে বসেছে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন অংশ। এর মধ্যে ভাঙ্গনের তীব্রতার কারনে বিলীন হতে চলেছে রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়া। খুব দ্রæত নদীর ভাংগন রোধ করা না গেলে এলাকাটি নদী গর্বে হারিয়ে যাবে বলে আশংকা করেছেন খোদ রামু উপজেলা প্রশাসন। তাই দ্রæত পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিশেষ বরাদ্ধের আওতায় বাঁদ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন।
শ্রাবনের মাঝামঝি সময়ে হঠাৎ করে কয়েক দিনের একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে পুরু কক্সবাজারের বেশির ভাগ ইউনিয়ন এখন ক্ষতিগ্রস্থ। ৩ দিন পানির নীচে থাকার পর পানি কিছুটা কমলেও ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনিএখনো বেশির ভাগ মানুষ। এদিকে এখনো বাঁকখালী নদীতে প্রবল ¯্রােত থাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারন করেছে। নদীর ভাঙ্গন একেবারে বাড়ির সীমানায় চলে এসেছে।
এতে চরম আতংকে আছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যপারে রামু চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন,বাঁকখালী নদীতে প্রবল ¯্রােতের কারনে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বিশেষ করে মিস্ত্রি পাড়া,মাতবর পাড়া,আলী হোসেন মিয়া পাড়ারএলাকার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। যেহারে নীদ ভাঙ্গছে এতে যে কোন মুহুর্তে এলাকার কয়েক শত বাড়িঘর নদীতে পড়ে যেতে পারে। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াষ দিয়েছে। মিস্ত্রি পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোমেন জানান,নদীর ভাঙ্গন তীব্রতর হওয়াতে আমরা খুবই চিন্তার মধ্যে আছি,যে কোন মুহুর্তে কার বাড়িঘর নদীতে পড়ে যায় সেটা নিয়ে চিন্তায় অনেকে রাতে ঘুমাতে পারেনা।
তাই দ্রæত পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র মাধ্যমে বøক বা বাঁধ নির্মাণ করে আমাদের এলাকাকে রক্ষা করার দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ তাহের বলেন,নদীর ভাঙ্গন অনেক আগে শুরু হয়েছিল,আমি অনেক আগে থেকে বাঁধ দিয়ে এলাকা রক্ষার দাবী করে আসছি কিন্তু সম্প্রতি নদীতে ¯্রােত বেশি হওয়ার কারনে ভাঙ্গন বেশি হয়েছে। এতে যে কোন মুহুর্তে কয়েকশত ঘরবাড়ি নদীতে হারিয়ে যেতে পারে। এ ব্যপারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন,আমি চাকমারকুল ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সেই ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছি। এটা সত্যি ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে আছে,দ্রæত বøক বা বাঁধ দিতে না পারলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকার আছে। আমি বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। আমি আশা করবো উনারা দ্রæত পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসবে।