ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির শহরের বিভিন্ন সড়কে দিন-রাত মাইকিংয়ের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রচারে ব্যবহৃত মাইকের অতিরিক্ত শব্দে সৃষ্টি হচ্ছে শব্দদূষণ। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন, শব্দদূষণের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি তবে ভ্যানে মাইকের মাধ্যেমে শব্দদূষণ হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন কার্যক্রম নেয়া হয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয় হবে ।
শহরের অলিগলি সহ চারটি উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের আকৃষ্ট করতে মাইকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া এবং সবজি বিক্রি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারনা চালানো হয় ।
এ ছাড়া সড়কে যানবাহনগুলোর অতিমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে এতে মাত্রাতিরিক্ত ও অসহনীয় শব্দদূষণে অতিষ্ঠ জেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ রোগী ও পরীক্ষার্থীদের বেশি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাইকে উচ্চ শব্দে প্রচার ও নানান অনুষ্ঠান এতে অতিষ্ঠ হয়ে পরছেন তারা । বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সকল জায়গায় মোটরগাড়ির হর্ন বাজানো বা মাইকিং নিষিদ্ধ। বিধিমালায় এসব থাকলেও, মানছেন না কেউ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন, শব্দদূষণের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি তবে ভ্যানে মাইকের মাধ্যেমে শব্দদূষণ হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন কার্যক্রম নেয়া হয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয় হবে
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার বলেন, শব্দদূষণের কারণে রোগীদের কানে সমস্যা হয়। এ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে মানুষের শ্রবণ ও স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং নিদ্রাহীনতা হতে পারে।