বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ প্রথম দেশ হিসাবে নিরাপত্তা জনিত কারনে দেখিয়ে চ্যাট জিপিটির ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে এই বটটির বিরুদ্ধে। ফলে ইতালির পর এবার জার্মানিতেও নিষিদ্ধ হতে পারে ওপেন এআইয়ের তৈরি এই বট ব্যবহার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হান্ডেলসব্লাটে এই তথ্য জানান জার্মানির ফেডারেল কমিশনার ফর ডাটা প্রটেকশন উলরিখ কেলবার।
তিনি জানান, ইতালির কাছে চ্যাটজিপিটি সাময়িক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যও জানতে চেয়েছে জার্মানি। এ ছাড়া ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডের ডাটা প্রটেকশন সংস্থা ইতালির কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে। ইতালি চ্যাটজিপিটির ব্যাপারে উদ্বেগজনক যে তথ্য পেয়েছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনায় আগ্রহী।
আয়ারল্যান্ডের ডাটা প্রটেকশন কমিশনারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতালির নীতিনির্ধারকরা কিসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমরা বুঝতে চাই এবং সব ইউরোপীয় ইউনিয়ান ডাটা প্রটেকশন অথরিটির সঙ্গে এ ব্যাপারে সমন্বয় করতে চাই। গত শুক্রবার চ্যাটজিপিটিকে আপাতত ২০ দিনের জন্য অফলাইনে পাঠায় ইতালি।
ইতালি জানিয়েছে, এই প্রযুক্তিতে বয়স বিচারের কোনও প্রক্রিয়া নেই। চ্যাটজিপিটি যেহেতু ১৩ বছরের উর্ধ্বে থাকা যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন, তাই অনেক সময়েই ছোটদের জন্য উপযুক্ত নয় এমন বিষয়বস্তুও তারা দেখে ফেলে। দেশটিতে স্থায়ীভাবে বন্ধ এড়াতে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ওপেনএআইকে জানাতে হবে, কী ভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সমস্যার মোকাবিলা করবে তারা। তাদের বক্তব্য শোনার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইতালি। আর এই সমস্যাটি নথিভুক্ত করতে বা সমাধান করতে অক্ষম হয়, তাহলে কোম্পানিকে ২০ মিলিয়ন ডলার, বা মোট রাজস্বের ৪ শতাংশ জরিমানা করা হবে।
এ নিয়ে চ্যাটজিপিটি সিইও স্যাম অল্টম্যান টুইট করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, সরকারের আদেশ মেনে ইতালিতে চ্যাট জিপিটি বন্ধ করেছে। তবে তার সংস্থা সব গোপনীয়তার নিয়ম অনুসরণ করছে ও ভবিষ্যতেও তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।