কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলাকে এই সময়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত এলাকা ঘোষনা করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এই ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলীর সভাপতিত্বে জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে কাঠালিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনি ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় চাহিদা ভিত্তিক ৪৭৭টি গৃহ নির্মানের মধ্য দিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত এলাকা ঘোষনা করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আলম, কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, সদর ও রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চেচরি-রামপুর ইউনিয়নে ৮০টি, আমুয়া ইউনিয়নে ৯৩টি, কাঠালিয়া সদর উপজেলা ইউনিয়নে ১৩৮টি, সৌলজালিয়া ইউনিয়নে ৬৬টি, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৫১টি ও পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে ৪৯টি গৃহ নির্মান করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মানে ধাপ অনুযায়ী ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যায় করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারনে এই এলাকায় আগামীতে কোনো পরিবার ভূমিহীন হলে তাকে গৃহ নির্মান করে দেয়া হবে। সরকার যে সকল পরিবারের জায়গা-জমি ও গৃহ নেই তাদেরকে “ক” শ্রেণীভুক্ত করে তাদের সরকারি খাস অথবা সরকারের অনুকুলে দান করা জমিতে গৃহ নির্মান করে ভুমিহীনদের ঠিকানা তৈরী করে দিয়েছে। সরকার এই “ক” শ্রেণীভুক্ত মানুষের গৃহ নির্মানের চাহিদা পূরণ করে যে সকল পরিবারের নিজস্ব জমি আছে অথচ ঘর নেই তাদেরকে “খ” শ্রেণীভুক্ত করে তাদেরকেও গৃহ নির্মন করে দেয়া হবে এবং যাদের জায়গা আছে কিন্তু বাড়ি ঘরের কাঠামো দূর্বল তাদেরকেও “গ” শ্রেণীভুক্ত করে ধাপে ধাপে গৃহ নির্মান করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় এ নিয়ে চারটি উপজেলায় ১৫৫৯টি পরিবারকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহ নির্মান করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২০১টি পরিাবারকে, নলছিটি উপজেলায় ৩৮৫টি পরিবারকে, রাজাপুর উপজেলায় ৪৯৬টি এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ৪৭৭টি গৃহ নির্মান করা হয়েছে। সভায় আরো জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অবশিষ্ট উপজেলায় চাহিদা নিরুপণ করে দ্রæততার সাথে জুলাই-আগষ্টের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করে গৃহ নির্মান বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে।