‘অল আইজ অন রাফা’ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে বানানো একটি ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে শব্দটি ট্রেন্ডিংয়েও রয়েছে। যার বাংলা অর্থ হলো- সবার চোখ রাফায়। কিন্তু কথা হলো কেন সবাই তাকিয়ে আছে রাফা শহরে? কী হচ্ছে সেখানে? আর এই কথাটা এলো কীভাবে?
গত কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘অল আইজ অন রাফা’। কিন্তু এই শব্দটা নতুন নয়। এই এই স্লোগানটি এসেছে ফিলিস্তিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিসের পরিচালক রিক পিপারকর্নের একটি বিবৃতি থেকে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনিই প্রথম এই মন্তব্য করেছিলেন। নতুন করে রাফা শহরে ইসরায়েলি বর্বর হামলার পর এই শব্দটা ছড়িয়ে পড়েছে। যেটাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এআই দিয়ে তৈরি ছবিটি।
ফিলিস্তিনে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এই আগ্রাসন থেকে আশ্রয় নিয়ে গাজা ছেড়ে সবাই আশ্রয় নিয়েছেন রাফা শহরে। এখন সাম্রাজ্যবাদ ইসরায়েল ওই শহরেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাও আবার আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে। সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার রাফায় আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনের সমর্থনে এই বাক্যটি পোস্ট করছে।
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) একটি রায় দেয়। ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কয়েক দিন পরেই রাফা শহরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় একটি শরণার্থী শিবিরে ২৩ শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়। আহত হয় ২০০ জনের বেশি।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বোমা ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল। এই হামলার পরেই আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মুখে পড়ে ইসরায়েল। গাজায় নিরবচ্ছিন্ন আগ্রাসন বিচ্ছিন্নতাকে আরও গভীর করে যেন ভাবিয়েছে বিশ্ববাসীকে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই হামলার ঘটনায় অনেকেই জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। বোমার আঘাতে শিশুদের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেখতে পাওয়া যায় মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুর মরদেহও।
এই হামলার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দায় সরব হয় শান্তিকামী মানুষ। প্রথমে ইসরায়েলি সেনাদের দাবি ছিল, তারা জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল অভিযান চালিয়েছে। তবে সমালোচনার মুখে পড়তেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাদের ভুল হয়েছে। ‘দুঃখজনক ভুল’। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে শান্তিকামী মানুষ।