অনেক ভিআইপি নায়িকা পরীমণির ঘটনায় ফেসে যাচ্ছেন । সিআইডি জানিয়েছেন পরির উৎখানের পিছনে অনেক ভিআইপির নাম পাওয়া গেছে। আজ ৮ আগস্ট রোববার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
শেখ ওমর ফারুক বলেন, পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে গণমাধ্যমে অনেক ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যানের নাম এসেছে। কিন্তু তারা আদৌ জড়িত কি-না, তা পুঙ্খানুঙ্খুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মূল ৬ আসামির বাসায় অভিযান চালানো হয়। কিছু ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। ব্ল্যাকমেইলের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, স্বীকার করছে গ্রেপ্তারকৃতরা।
যাদের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আপাতত ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যানদের নাম বলতে চাচ্ছি না। তবে তদন্ত শেষে বলা যাবে।
এর আগে গতকাল ওমর ফারুক বলেন, পরীমণি কাণ্ডে যে যতবড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বুধবার রাতে বনানীর বাসায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পরীমণি ও রাজকে আটক করে র্যাব। অভিযানকালে তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরীমণি ও তার সহযোগী দীপু এবং প্রযোজক রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের এক নির্দেশনায় সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।