দূরযাত্রা রিপোর্ট
ঝালকাঠিতে নাগরিক সমাজভিত্তিক সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ এর সভা ঘিরে সামাজিক রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। গত ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল— সচেতন, সংগঠিত, সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।
তবে সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আধিক্য চোখে পড়ায় ‘সুজন’-এর ঝালকাঠি জেলা কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, সাবেক কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, মহিলা লীগের নেত্রী ও ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর নাসিমা কামাল, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি আল আমিন বাকলাই, এবং কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব বাচ্চু হোসেন। এদের সবাই স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। যারা দলের হয়ে গনতন্ত্র সুশাসন ধ্বংসের কাজ করেছে। অথচ তারাই আজ সুজনের সভায়।
কাঠালিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ঝালকাঠি জেলা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস ফরহাদ নিজেইতো আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক। দীর্ঘদিন যাবৎ কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সে কিভাবে জেলা সুজনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ‘সুজন’-এর কার্যক্রমে গণতন্ত্র সুশাসনের স্বপক্ষের সচেতন নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিলো তা না করে উল্টো গণতন্ত্র সুশাসন ধ্বংসের পক্ষের আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে তারা সভা করেছে। যারা দেশের নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, তারাই এখন সুজনের সভায়। এই জেলা কমিটি সংস্কার না হলে সংগঠনটি বিতর্কের মুখে পড়বে।
এ বিষয়ে ‘সুজন’ ঝালকাঠি জেলা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস ফরহাদ বলেন, রাজনৈতিক বড় পদধারী কেউ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারেনা । তবে তারা যদি দলীয় পদ থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে – কমিটিতে রাখা হবে কি না।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণে জেলা কমিটির পুনর্গঠন কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
			 
			






 
							



