ফাইন্যান্সিয়াল থিংক-ট্যাংক কার্বন ট্র্র্যাকারের গবেষণায় উঠে আসে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নতুন এই কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো থেকে সস্তা হওয়া সত্ত্বেও চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ও ভিয়েতনাম প্রায় ৬’শর ও বেশি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। গার্ডিয়ান
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা সব নতুন কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানালেও পরিবেশের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর এই উৎসে বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পর্যায়ক্রমে কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প থেকে সরে আসতে শুরু করলেও এশিয়ার দেশগুলো এতে অর্থায়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে মোট ব্যবহৃত কয়লার তিন-চতুর্থাংশই হয়েছিলো এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোতে। বিশ্বের ৮০ভাগ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য দায়ী এই পাঁচ দেশ বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এই বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো বছরে মোট ৩০০ গিগাওয়াট শক্তি উৎপাদনে সক্ষম হবে।
কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী চীন। দেশটি ১৮৭ গিগাওয়াট সক্ষমতাসম্পন্ন ৩৬৮টি বিদ্যুতকেন্দ্রের পরিকল্পনা করছে। যদিও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিয় ২০৬০ সালে মধ্যে তার দেশকে শূন্য কার্বন নিঃসরণের মধ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দ্বিতীয় বৃহত্তর কয়লা ব্যবহারকারী দেশ ভারত ৬০ গিগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৯২টি প্ল্যান্টের পরিকল্পনা করেছে। এবং ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও জাপান যথাক্রমে ১০৭টি, ৪১টি ও ১৪টি নতুন প্ল্যান্টের পরিকল্পনা করেছে। সিএনএ
প্রতিবেদনের লেখক ক্যাথরিনা হিলেন ব্র্যান্ড ভন দের নেইন বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে যখন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের নবায়নযোগ্য শক্তি সহজলভ্য সমাধান দিচ্ছে তখন এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো স্রোতের বিপরীতে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের উচিত এগুলোতে অর্থায়ন বন্ধ করা।’