বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক নিত্যনতুন উদ্যোগের পাশাপাশি নানা ধরনের অদ্ভুদ সিদ্ধান্তের জন্য বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন দ্বাদশ অর্থাৎ ১২ নম্বর সন্তানের বাবা হিসেবে। তার ১২ নম্বর সন্তানের মা শিভন জিলিস।
চলতি বছরের শুরুতে দ্বাদশ সন্তানের বাবা হন ইলন মাস্ক। এত দিন বিষয়টি গোপন থাকলেও সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের এই সন্তানের কথা প্রকাশ করা হয়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের পর পেজ সিক্সকে সরাসরি সন্তানের কথা উল্লেখ না করে ইলন মাস্ক বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা জানেন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই।’
জানা গেছে, এক ডজন সন্তানের বাবা হলেও নতুন শিশুটি ইলন ও শিভন দম্পতির তৃতীয় সন্তান। ৩৮ বছর বয়সী শিভন ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নিউরালিংকের একজন পরিচালক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালে অভিজ্ঞ তিনি। ২০২১ সালের নভেম্বরে ইলন-জিলিস দম্পতির যমজ সন্তান স্ট্রাইডার ও আজুরের জন্ম হয়।
গত এপ্রিলে নিজের মালিকানাধীন খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ইলন মাস্ক লিখেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি কোনো শিশুকে বড় করা আসলে ১৮ বছরের প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং।’
১২ নম্বর সন্তানের বাবা হওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর অনেকেই ধারণা করছেন, পোস্টে নতুন সন্তান হওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক ২০০২ সালে প্রথম বাবা হন। তার সাবেক স্ত্রী কানাডীয় লেখক জাস্টিন উইলসনের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম ছিল নেভাদা আলেকজান্ডার। তবে শিশুটি জন্মের ১০ সপ্তাহের মাথায় মারা যায়। ২০০৪ সালে উইলসন আইভিএফের মাধ্যমে যমজ পুত্রসন্তান ভিভিয়ান জেনা ও গ্রিফিনের জন্ম দেন। জাস্টিন উইলসনের ঘরে মাস্কের মোট ছয়টি সন্তান, ২০০৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
কানাডার সংগীতশিল্পী ক্লেয়ার বাউচার ও ইলন মাস্কের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। এর একটি ছেলে, অপরটি মেয়ে। পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। কানাডার আরেক সংগীতশিল্পী গ্রিমসের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। গ্রিমস-ইলন দম্পতির ঘরে রয়েছে তিনটি সন্তান। পরে সন্তানের অধিকার পেতে ২০২৩ সালে ইলন মাস্ককে আদালত পর্যন্ত হাজির করেন গ্রিমস।