১৫ থেকে ২০ জনের সাইবার মনিটরিং টিম দিয়ে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করতেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এছাড়া, জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে অনৈতিক উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনেরও প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম দুই মামলায় হেলেনাকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। র্যাব বলছে, পাঁচটি গার্মেন্টস ও ১৬টির মতো ফ্ল্যাটের তথ্য তাঁদেরকে জানিয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। এছাড়া জয়যাত্রা টেলিভিশনের নামে চাঁদাবাজি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে টাকা আত্মসাতেরও তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, টিভি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি এবং বিদেশে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীর নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উনি নিজের স্বার্থের জন্য টাকা খরচ করতেন। কিন্তু এগুলোকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে চালিয়ে দিয়েছেন।
মন্ত্রী-এমপিসহ ভিআইপিদের সংগে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতেন হেলেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাতে একটি সাইবার ইউনিট ছিলো তার।
উনি একটি শক্তিশালী সাইবার টিম নিয়ন্ত্রণ করতেন। যারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে সামাজিক মাধ্যমে হেলেনা জাহাঙ্গির-এর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাতেন। উনার বক্তব্য অনুযায়ী, আমরা ১৫ থেকে ২০ জনের নাম পেয়েছি।
এছাড়াও হেলেনা জাহাঙ্গীরের আরও অবৈধ সম্পদ ও অর্থের খোঁজও শুরু করেছেন তারা। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে হেলেনা’র গুলশানের বাসায় চার ঘন্টা অভিযান চালায় র্যাব। উদ্ধার করা হয়, বিদেশি মদ-মুদ্রা, ওয়াকিটকি, হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া। পরে অভিযান চালানো হয় জয়যাত্রা টিভিতে। সম্প্রতি ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি ভুয়া সংগঠনের সদস্য আহবান করে নতুন করে সমালোচনায় পড়েন হেলেনা জাহাঙ্গীর।