জনতার খবর ডেক্সঃ
২০১৬ সালের এক জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে । হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মি করে ১৭ বিদেশিসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ২০ জনকে । জঙ্গিদের প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণ দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা । ঘটনার ৫ বছর পরও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ ।
হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলশান থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । রাত ৯ টা ২০ মিনিটে শোনা যায় গোলাগুলির শব্দ। রাত সাড়ে ৯ টায় বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাউদ্দিন গুরুতর আহত ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর আসে । রাত ১১ টার কিছু পর ওসি সালাউদ্দিন মারা যান।
এরই মধ্যে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি ও্ নৌবাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজান ঘিরে রেখে জঙ্গিদের প্রতিহত করার পরিকল্পনার ছক আকঁতে থাকে। পাশাপাশি বেকারির ভেতরে অবস্থান নেয়া জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চলতে থাকে। কিন্তু জঙ্গিরা কোনোভাবেই সাড়া দেয়নি ।
সে রাতে তথ্য আসে, জিম্মি থাকা ২০ জনকে হত্যার খবর । তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপান, ১ জন ভারত ও ৩ জন বাংলাদেশের নাগরিক ।পরদিন সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নেয় সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো দল । এর ১৫ মিনিটের মধ্যে শুরু হয় অপারেশন থান্ডার বোল্ড।২০ মিনিটের মধ্যে ভবনটির নিয়ন্ত্রন আসে কমান্ডোদের হাতে। সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে শেষ হয় জঙ্গি বিরোধী অভিযান অপারেশন থান্ডার বোল্ড ।এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১২ ঘন্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের।
সকাল ১০ টায় ৪ বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের তথ্য আসে । সর্বশেষ, ৫ জন জঙ্গির নিহতের তথ্য ও ছবি আসে গণমাধ্যমের কাছে।
দেশের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা এটিই প্রথম।এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি বিরোধী অভিযানে প্রায় ১০০ জন নিহত ও গ্রেপ্তার হয় ৫ শতাধিক।