জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের লাটিমসার গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মিন্টু হোসেনের (২৩) ঝুলন্ত মরদেহ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
গতকাল ১৪ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের একজন শিশু সদস্য মিন্টুকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। এরপর মিন্টুর বড়ভাই এসে মৃত অবস্থায় মিন্টুকে নিচে নামায় বলে ঢাকা পোস্টকে জানান মিন্টুর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
এরপর ঝালকাঠি সদর থানাকে জানানো হলে পুলিশ এসে রাতেই লাশ থানায় নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর হোসেন আরো জানান, তাঁর ৬ ছেলেমেয়ের মধ্যে মিন্টু পঞ্চম। মিন্টু আরো ৭/৮ বছর আগে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে করে। সেই ঘরে ছোটো একটি মেয়েও আছে। ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাদে সেখানে বরগুনা জেলার একজন মেয়ের সাথে আবার প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। সে অনুযায়ী ২ মাস আগে তাঁর ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে। কিন্তু ১০দিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী আত্মহত্যা করেছিলো বলে জানান তিনি।
মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রীর লাশ তখন ঢাকার কয়েকটি হাসপাতাল হয়ে পুলিশের কাছে যায় বলে জানান জাহাঙ্গীর। লাশ মেয়ের বাড়ির লোকদেরকে ঘটনার দিন থানা থেকে দেয়া হলেও মিন্টুকে থানায় তিনদিন আটকে রাখা হয়। মেয়ের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় থানা ছেড়ে দেয় মিন্টুকে। ঢাকার কোন থানায় এসব হয়েছে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি জাহাঙ্গীর।
তবে তাঁর ছেলে এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে আসার পর থেকেই অস্বাভাবিক ছিলো বলে জানান। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় নিজের ঘর থেকেই ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় স্ত্রী মিন্টুর প্রথম বিয়ের কথা জানতো কিনা জিজ্ঞেস করলে জাহাঙ্গীর জানান, সে নিজেই বিয়ের আগে মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রীকে জানিয়েছিলো।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে আজ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হবে। মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পর কোন থানায় সে তিনদিন আটক ছিলো, সে বিষয়ে এই কর্মকর্তা কিছু জানাতে পারেননি।