অনলাইন ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুল শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ৩ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ২২ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পৌর শহরের চন্ডীবের ও পলতাকান্দা গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতিপক্ষের লোকজন চন্ডীবের গ্রামের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগসহ সাতটি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। একইসঙ্গে পুলিশ রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, পলতাকান্দা গ্রামের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে আসা-যাওয়ার পথে চন্ডীবের গ্রামের বখাটে প্রকৃতির কয়েকজন যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পলতাকান্দা গ্রামের লোকজন চন্ডীবের গ্রামের লোকজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগসহ বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে রাস্তা আটকে দেয় চন্ডীবের গ্রামের লোকজন। ফলে ভোগান্তিতে পরে এ পথে চলাচলকারী যানসহ লোকজন। পরে খবর পেয়ে পৌর মেয়রের নির্দেশে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পলতাকান্দা গ্রামের উত্ত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা রতন বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে চন্ডীবের গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে রিয়াদ উত্ত্যক্ত করে আসছে। ফলে এ ঘটনা নিয়ে সংর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে চন্ডীবের গ্রামের নবী হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগসহ বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এতে তাদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়াও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান, ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা। সূত্রঃ আর টিভি।