বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হবে। মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সব বিদ্যালয়ে চলবে ইন্টারনেট ব্যবস্থা। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শিগগিরই দেশের ৬৫ হাজার ৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ওয়াইফাইয়ের আওতায় নেয়া হবে। বাদ যাবে না মনপুরা থেকে লংগদুর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষকরা তাদের স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষককে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে। ওয়াইফাই থেকে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষকরা অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
ওয়াইফাই পরিচালনার খরচের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, ডাটা ফি দেয়া হবে। শিক্ষকরা তাদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবেন। স্মার্ট ফোন থাকলে রাউটার বা অন্য কোনো ডিভাইস ছাড়াই সেবা গ্রহণ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, দেশে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৯৯টি। এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একযোগে জাতীয় করা প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৭ হাজার ৬৭২টি। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে এক হাজার ২০৭টি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দফায় নতুন করে জাতীয়করণ করেছেন ২৬ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় রয়েছে ৬১টি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় ছুটির সময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস্টার ভিত্তিক অনলাইন ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। গত ২৯ এপ্রিলের নির্দেশনায় গুগল মিটের মাধ্যমে ক্লাস করানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছিল, প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে আইসিটি পুল গঠন করে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার তার নেতৃত্ব দেবেন। ক্লাস্টারের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইতোমধ্যে যারা গুগল মিটে কাজ করেছেন তারা আইসিটি পুলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কোনো ক্লাস্টারের কোনো শিক্ষকের গুগল মিট ওরিয়েন্টেশন না হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে ওরিয়েন্টশন দিতে হবে। আইসিটি পুলের সদস্য শিক্ষকদের যত বেশি সম্ভব একদিনের ওরিয়েন্টশন দিতে হবে। আইসিটি পুলের সদস্য ও ওরিয়েন্টেশন নেয়া শিক্ষকরা অভিভাবকদের মধ্যে যাদের স্মার্ট ফোন বা ডিভাইস আছে, তাদের গুগল মিট ওরিয়েন্টেশন দেবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর (কম্পিউটার সায়েন্স), উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি অনলাইন ক্লাস বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। বিভাগীয় উপপরিচালক সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি শ্রেণি ক্লাস পরিচালনার পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা ছাড়া বিভিন্ন কাজে অনলাইন সেবার প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।