মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
গত বছর ২০২০ সালের মার্চ থেকে এই প্রর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কার্যত লকডাউন চলছে। কখনও এ লকডাউন শিথিল থাকে কখনও কঠোর। এই এক বছরের লকডাউনে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা হয়ে পড়েছে অসহায়।অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মালয়েশিয়ান প্রবাসী দের মধ্যে কাগজপত্র বিহীনদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই কঠিন মুহুর্তে তাদের নিজেদের খাবারের জন্য অর্থটুকুও হাতে অবশিষ্ট নাই। লকডাউনের পাশাপাশি বছর ব্যাপি চলছে অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার। একদিকে কার্যহীন অন্যদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীরা এক দূর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে। কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের দেশে ফেরার পথ অনেক সহজ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ান সরকার।
কোন প্রকার ইমিগ্রেশনের ঝামেলা ছাড়া শুধু মাত্র এয়ারপোর্টে মালয়েশিয়ান ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে দেশে যেতে পারবে কাগজপত্র বিহীন যেকোনো প্রবাসী। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত হোটেলে উচ্চ মূল্যে কোয়ারেন্টাইনের শর্ত জুড়ে দেওয়াতে কর্মহীন প্রবাসীরা দেশে ফিরতে পারছে না। এ ছাড়া পাসপোর্ট নাবায়নে গাফেলতি ও দালালদের দৌরত্ম্যে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাসপোর্ট পাচ্ছে না মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
কাগজপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই প্রবাসীরা সর্বক্ষন গ্রেফতার হবার আতংকে সময় পার করছে। উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সংসদ ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, মালয়েশিয়া শাখার পক্ষ হতে ৩ টি সুনির্দিষ্ট দাবী বাংলাদেশ সরকার বরাবর পেশ করেছে। দাবী তিনটি হলোঃ ১. লকডাউনে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন থাকা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য দ্রুত খাদ্য সামগ্রী সহযোগিতা পাঠাতে হবে। ২. হোটেল কোয়ারান্টাইন বাতিল করে সরকারি খরচে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন বা নিজ বাড়িতে বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নিয়ম করতে হবে। ৩. দালালদের দৌরাত্ম কমিয়ে মেয়াদ উর্ত্তীন পাসপোর্ট দ্রুত নবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।