বুলবুল আহমেদ, রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্তের গ্রাম চাড়াখালী। পাশেই রয়েছে সদর ইউনিয়নের বড়-কৈবর্তখালী গ্রাম। দুই ইউনিয়নের দুই গ্রামের মাঝে সংযোগস্থলে রয়েছে পোনা নদী। যেখানে দীর্ঘদিনেও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে ঝুকিপূর্ণ বাশের সাকো দিয়ে কিংবা অনেক দূর দিয়ে ঘুরে বিপরীত সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে হতো। এটা ছিল তাদের জন্য চরম দুর্ভোগের।
এ অবস্থায় গ্রামের মানুষের যোগাযোগে ভোগান্তির কথা ভেবে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেন চাড়াখালীর ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস। একটি পুরোনো ব্রিজের লোহার মালামাল উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এনে স্বেচ্ছাশ্রম ও গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় গ্রামবাসীর জন্য লোহার সেতু তৈরি করে দিলেন ইউপি সদস্যের উদ্যোগে স্থানীয়রা।
সোমবার (১৯ জুলাই) এ উপলক্ষে এলাকাবাসীর আয়োজনে ব্রিজটি উদ্বোধনী অনষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোক্তার হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচএম খাইরুল আলম সরফরাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, সদর ইউনিয়নের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবর,জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুলাল তেওয়ারী,কৈবর্তখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ সুমন সহ দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ব্রিজটি উদ্বোধন করেন।
ব্রিজটি নির্মানের ফলে কয়েক গ্রামের মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারায় খুশি। তবে স্থায়ী পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি গ্রামবাসী সবার। চাড়াখালী গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল খালেক মৃধা বলেন, দাদার আমল থেকে শুনে আসছি এখানে বিজ্র হবে। ব্রিজ হতে হতে ৭০-৮০ থেকে দাদারা বিদায় নিয়ে চলে গেলো। এরপর আমার বাবা-চাচারা আসলো, তারাও বললো ব্রিজ হবে। এই এমপি গিয়ে ওই এমপি আসছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট ভোগ করছি। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে বাশের সাকো বর্তমানে সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহনকারী চাড়াখালীর ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন এলাকার বিত্তবান থেকে শুরু করে গ্রামের সবাই আমাদের অর্থ দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে ব্রিজটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এই ব্রিজটি যেহেতু ক্ষণস্থায়ী তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি এখানে যেন একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।