আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের খুব কাছে দক্ষিণের চর আসিয়াব শহরে পৌঁছে গেছে তালেবান। এরই মধ্য দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১৮টিই দখল করে নিয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার চর আসিয়াব শহরে তালেবানের পৌঁছানোর খবরটি নিশ্চিত করেছেন লগার প্রদেশের আইনপ্রণেতা হোদা আহমাদি। কাবুলের দক্ষিণের এই প্রদেশও চলে গেছে তালেবানের হাতে।
বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তান সরকার যদি এ তথ্য নিশ্চিত করে তাহলে এটিই হবে কাবুলের সবচেয়ে কাছে তালেবানের সর্বশেষ অবস্থান এবং রাজধানী থেকে বিদ্রোহীদের দূরে রাখার জন্য লড়াই করে আসা আফগান বাহিনীগুলোর জন্য আরেকটি ধাক্কা।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতও এখন তালেবানের দখলে। গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি শহর দখলে নেয় তালেবান। নতুন দখল করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কালাত, তেরেনকোট, পুল-ই-আলম, ফিরুজ কোহ, কালা-ই-নাও ও লস্করগাহ। এর মধ্যে লগার প্রদেশের রাজধানী হলো পুল-ই-আলম। এই শহর কাবুল থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অবশ্য তাদের সবশেষ মূল্যায়নে বলছে, তালেবান আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কাবুলের দিকে এগুনোর চেষ্টা করতে পারে। কাবুল প্রদেশের কাছাকাছি এলাকায় তালেবান অবস্থানগুলোতে মার্কিন বাহিনী সম্প্রতি বিমান হামলাও চালিয়েছে।
টিভিতে ভাষণের সময় প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানিকে গম্ভীর দেখাচ্ছিল। তার পেছনে ছিল আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা। তিনি বলেন, সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীকে পুনরায় সংহত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং এ ব্যাপারে জোরদার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তবে আনন্দ বাজার এক সংবাদে বলেছে, স্ত্রী-পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালাতে পারেন বলে গুঞ্জন চারিদিকে। তার মধ্যেই তালেবান আগ্রাসন নিয়ে দেশবাসীর মুখোমুখি হলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। নিজের ইস্তফা বা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আফগানিস্তানে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন তিনি।