বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এর আগে, তিন বাহিনীর প্রধানগণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতিও তার ভাষণে খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে কারাগারে যান তিনি। কারাগারে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তখন সরকারের কাছে পরিবারের আবেদনের পর শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর আবেদনের পর মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।