বাউপল প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে হতদরিদ্রের চালের (ভিজিডি) তালিকা প্রণয়ন দুর্নীতিতে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে আলোচিত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে। একই ঘটনায় তার অপর ৫ সহযোগীকেও কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
দুদকের আইনজীবী আরিফুল হক টিটো বলেন, অভিযুক্তরা ২০১৭ সালে হতদরিদ্রের (ভিজিডি) তালিকা প্রণয়নে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে একই পরিবারের ৪৮ জন, ৯১ জনকে দ্বৈত তালিকায় এবং ৯৪ জন বিত্তশালীসহ মোট ২৩৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি দুদকের নজরে আসে।
তালিকা প্রণয়নে অসঙ্গতি পেয়ে ২০১৮ সালে ২৮ জানুয়ারি বাউফল থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তৎকালীন পটুয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দুদক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। এরপর তারা জামিন পান।
পরে দুদকের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার বাদী ও তদন্তকারী অফিসার মানিক লাল দাস। কিন্তু আদালত সন্তুষ্ট না হয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা দেয় দুদককে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী দুদকের উপ-সহাকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা চার্জশিট দাখিল করেন।
করোনাকালে দীর্ঘ দিন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় রোববার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠায়।
উল্লেখ্য, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে একদিনের মাথায় তালাক দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। কিশোরীকে বিয়ের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সামায়িক বরখাস্ত করলে উচ্চ আদালত তাকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দেন।