বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সীমান্তে ঘেঁষে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করায় বাংলাদেশের ভেতরে মিয়ানমার ও ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। ফলে দেশে অপরাধ ও নাশকতার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানবপাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায়, ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৮-৯ লাখ সিম বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের। তার মধ্যে আরও ৩-৪ লাখ সিম মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপির।
তিনি বলেন, আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে, সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে।