ফরিদপুর প্রতিনিধি:
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয় পনের বছরের এতিম এক কিশোরীকে। সেখানে একটি ঘরে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
র্যাব জানায়, মেয়েটি থাকতো ঢাকার মোহাম্মাদপুরে তার ফুপুর বাড়িতে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরকে ফরিদপুর যৌনপল্লীতে নিয়ে আসেন আদম কাজী নামের এক প্রতারক।
২৭ জুলাই মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব-৮। এ ঘটনায় ওই ঘরের মালিক আদম কাজীকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়।
২৮ জুলাই আজ বুধবার র্যাব-৮ এর দেওয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, আদম কাজী মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারকারী দলের সদস্য আদম কাজী বিভিন্ন জেলা থেকে সহজ-সরল মেয়েদের ভালো বেতনের চাকরি দেয়াসহ টিকটক ভিডিওর মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুর যৌনপল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। ফরিদপুরের রথখোলায় গড়ে ওঠা বৃহত্তর এই যৌনপল্লীতে একটি দোতলা বাসা রয়েছে তার।
র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক জানান, আটক আদম কাজীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে মেয়েটিকে নারী পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়।