জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে আগামীকাল ২ নভেম্বর শনিবার সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু হবে। প্রতি সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে শাহবাগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ধাপে সপ্তাহে ২০০ জনকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আপাতত ঢাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগেই শহীদদের পরিবারকে সহযোগিতার কাজ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে প্রতি শহীদ পরিবার পাঁচ লাখ এবং আহতরা এক লাখ করে টাকা পাবেন জানিয়ে সারজিস বলেন, শুধু ১৬০০০ নম্বরটি থেকে শহীদ পরিবারে কল দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি টাকার হিসাব যেন দিতে পারি সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে। আন-অফিসিয়ালি আহতদের তালিকায় রয়েছে ২৪ হাজার এবং নিহত এক হাজার ৬০০-এর বেশি, যা বারবার যাচাই করা হচ্ছে। আহতদের পুনর্বাসনের কাজও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করা হবে।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামীকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের শহীদদের পরিবারের কাছে প্রথম এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ঢাকার সব শহীদ পরিবার কাল আসবে না। কাল যাদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই সকল পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে যাবে।
এই সহায়তার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সারজিস বলেন, এরপর আমাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। যারা আর কখনও কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন না, তাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে কোনো সম্মানী দেওয়া যায় কি না, এটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।