ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ড্রয়ের পর থেকেই ‘এফ’ গ্রুপকে বলা হচ্ছে মৃত্যুকূপ। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলও ফুটিয়ে তুলছে সেটির প্রতিফলন। চার দলেরই নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হচ্ছে শেষ রাউন্ডের খেলা।
৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে দুবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গতবারের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও তিনবারের শিরোপাজয়ী জার্মানির পয়েন্ট সমান ৩; তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে দুই নম্বরে ইওয়াখিম লুভের দল।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় শুরু হবে ম্যাচ দুটি। মুখোমুখি হবে ফ্রান্স-পর্তুগাল ও জার্মানি-হাঙ্গেরি।
শেষ রাউন্ডের আগে দেখে নেওয়া যাক, দলগুলোর সামনে কী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
ফ্রান্স:
>> শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেছে ফরাসিদের।
>> শেষ ম্যাচে জিতলে অন্য কোনো হিসাব ছাড়াই গ্রুপ সেরা ফ্রান্স। আবার এই ম্যাচে ড্র করলেও গ্রুপ সেরা হতে পারবে তারা; তবে সেক্ষেত্রে অন্য ম্যাচে জার্মানিরও পয়েন্ট হারাতে হবে।
জার্মানি:
>> হার এড়ালেই নকআউট পর্বে উঠবে জার্মানি।
>> নিজেরা জিতলে এবং অন্য ম্যাচে ফ্রান্স জিততে ব্যর্থ হলে গ্রুপ সেরা হবে জার্মানি।
>> নিজেরা ড্র করলে এবং অন্য ম্যাচে ফ্রান্স হারলে তৃতীয় সেরা হিসেবে পরের ধাপে উঠবে জার্মানি।
আবার জার্মানি হারলে এবং অন্য ম্যাচে পর্তুগাল জিতলে তৃতীয় সেরা হয়ে পরের ধাপে যেতে পারবে ইওয়াখিম লুভের দল; তবে সেক্ষেত্রে তাদের হারের ব্যবধান এক গোলের বেশি হতে পারবে না।
পর্তুগাল:
>> জার্মানির মতো হার এড়ালেই নকআউট পর্বে উঠবে পর্তুগিজরা।
>> নিজেরা জিতলে এবং জার্মানি পয়েন্ট হারালে গ্রুপ সেরা হবে পর্তুগাল।
>> নিজেরা এক গোলের ব্যবধানে হেরেও তৃতীয় সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠতে পারবে পর্তুগাল; তবে সেক্ষেত্রে অন্য ম্যাচে অবশ্যই হাঙ্গেরির জয় ভিন্ন অন্য ফল হতে হবে।
হাঙ্গেরি:
>> শেষ ষোলোয় উঠতে জিততেই হবে হাঙ্গেরিকে।
>> তারা জিতলে এবং ফ্রান্স হারলে, এই দুই দলের মধ্যে গ্রুপ রানার্সআপ নির্ধারণ হবে প্রথমে গোল ব্যবধান এবং পরে কারা বেশি গোল করেছে, সেই বিবেচনায়।
>> নিজেরা জিতলে এবং অন্য ম্যাচ ড্র হলে তৃতীয় হবে হাঙ্গেরি। তবে তৃতীয় সেরা হয়েও শেষ ষোলোয় ওঠা নিশ্চিত হবে তাদের।