রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর – কাঠালিয়া) নির্বাচনী আসনে ২০০৮ সালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম এর অনুপস্থিতিতে ও তার সুপারিশে বিএনপি থেকে নমিনেশন পান ঢাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জামাল।নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন এর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন জামাল।নির্বাচনে হারার পর ১৩ বছরে রাজাপুর – কাঠালিয়ার কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে দেখা মেলেনি রফিকুল ইসলাম জামালকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়ইয়া ইউনিয়ন এর এক বিএনপি নেতা জানান, রফিকুল ইসলাম জামাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত ডঃ হান্নান ফিরোজ ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির এর চাচত ভাই। ২০০৮ সালের পর থেকে সে আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি।উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদুর মাসুম মোল্লা জানান,২০০৮ সালের নির্বাচন পর থেকে উপজেলা বিএনপি সহ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা কর্মী রাজনৈতিক ভাবে হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে, কিন্তু রফিকুল ইসলাম জামাল সাংগঠনিক ভাবে কারো কোনো খোজ খবর বা সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি।উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির মোল্লা জানান,আমার সাথে কখনো রাজনৈতিক ভাবে সংগঠন এর উন্নতির ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি রফিকুল ইসলাম জামাল।
রাজাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ সজল সিকদার একান্ত সাক্ষাৎকার এ জানান,রাজনৈতিক কর্মকান্ড তো দূরের কথা ২০০৮ সালের পর সাধারন কর্মীদের ও কোনো খোজ রাখেনি। আজকাল দেখছি অনেকে দেশের বাহিরে বসে ফেইসবুকে নিজেকে রাজাপুর – কাঠালিয়ার বিএনপির কর্নধার দাবি করেন অথচ এসকল ফেইসবুক নেতাদের এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই এবং অনেকের সাথে এলাকার ত্যাগী নেতাকর্মী দের যোগাযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী দুয়েকটি স্টাটাস দিয়ে নিজেকে ভাইরাল করার চেষ্টা করছে।এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম জামাল এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।