জনতার খবর ডেক্সঃ ডা: মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান আশরাফী। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরের টাইগার কোম্পানীর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্বরণের পাশাপাশি আয়োজন করেন কাঙালি ভোজের।
এছাড়া জাতির পিতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রতিবছর কোরআন খতমের আয়োজন করেন ওয়ালীউজ্জামান আশরাফী। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ৪৬ বার কোরআন খতম সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, ডা: মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান আশরাফী শেরপুর সদর উপজেলার শীবরদী গ্রামের মৃত মৌলভী নূরজ্জামানের ছেলে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সম্পৃক্ত।
বঙ্গবন্ধু প্রেমী এই আশরাফী ইউরোপের স্কটল্যান্ড শাখা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড ও অস্টেলিয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন তিনি।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীর দিন থেকে প্রতিবছর এইদিনে পবিত্র কোরআন খতম দিয়ে আসছেন আশরাফী। পাশাপাশি গত কয়েকবছর ধরে শীবরদী গ্রামে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত খন্দকার হেলালা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম দেওয়া হয়।
ওয়ালীউজ্জামান আশরাফী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, ১৫ আগস্ট আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনার একটি দিন। পৃথিবীর যে দেশেই থাকি, এদিনে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকি। এছাড়া আমার গ্রামে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত খন্দকার হেলালা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় প্রতিবছর কোরআন খতম দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমি নিজেই কোরআন খতম দিতাম। বয়স বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে মাদ্রাসায় আয়োজন করা হয়। গতবছর ৪৫ বার কোরআন খতম দেওয়া হয়েছিল। এবার যেহুতো বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী, তাই এবার ৪৬ বার কোরআন খতম দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালীউজ্জামান আশরাফী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সমাজের শোষিত, অবহেলিত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার টানে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে শ্রম দিয়েছি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করি। পরে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ঘুরে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।