মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় হেঁটে, মোটরসাইকেল কিংবা ট্রাকে চড়ে ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন লাখো মানুষ।
রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় কর্মস্থলে যোগ দিতে এভাবেই রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন মাদারীপুর-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ভুরঘাটায় এসেছেন লাবনী আক্তার-সাহাবুদ্দিন দম্পতি। সঙ্গে তিন মাস বয়সী মেয়ে। জানালেন- কখনো মোটরসাইকেলে, কখনো পায়ে হেঁটে তারা ভুরঘাটা পর্যন্ত এসেছে। এখানেও কোনো যানবাহন নেই, তাই হেঁটেই বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে ছুটেছেন।
মৌসুমী নামে এক যাত্রী বলেন, ভুরঘাটা থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে মোটরসাইকেল ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু এখন চালকরা ২০০০-২২০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। কোনো উপায় না পেয়ে এভাবেই যাচ্ছি।
বরিশালের মুলাদী থেকে এসেছেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা লাকী আক্তার। তার কর্মস্থল সাভার। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েছেন ট্রাকে।
লাবিদ নামে এক যাত্রী জানান, লকডাউনের মধ্যেই কারখানা খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কালকিনির ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু হাজারো মানুষ যে যার মতো ছুটছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, সকাল থেকে হাজারো মানুষ পায়ে হেঁটে চরম দুর্ভোগের মধ্যে কর্মস্থলে যাচ্ছে। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ তাই তাদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘবের জন্য কিছু ট্রাকের ব্যবস্থা করেছি। পায়ে হাঁটার চেয়ে ট্রাক কিছুটা আরামদায়ক।