ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার হাসপাতালগুলির মধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আসা রোগীরা দৈনিক ৫০ টাকা হারে খাবার কম পাচ্ছে। অথচ ১০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে গড়ে দৈনিক ৮০জন রোগী ভর্তি থাকে। অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। ২০১৯ সালে একটি মামলা হয় এবং সরকার ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য ১৭৫ টাকা হারে খাদ্য বরাদ্দের আদেশ প্রদান করেন।
সেই থেকে প্রায় ৩ বছর ধরে রোগীরা এই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে দৈনিক খাবার তালিকায় ১৭৫ টাকা হারে রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১২৫ টাকা হারে খাবারের বরাদ্দ রয়েছে। এই ১২৫ টাকা মধ্যে সকালে নাস্তা ও দুপুর রাতে ভাত তরকারি মাছ মাংস থাকে। বর্তমানে এই হাসপাতালে খাবারের মধ্যে কম দামী চাল ও মাছ মাংসের পরিমাণও কম থাকে। খাবারের তালিকায় দৈনিক তরকারি ডাল রুটিন অনুযায়ী কোনদিন মাছ, মাংস ও ডিম থাকে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ক্রয়কমিটির দাবী করেছে অন্যান্য উপজেলার হাসপাতালগুলির রেট অনুযায়ী সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক সরকার নির্ধারিত ১৭৫ টাকা রেটে টেন্ডার আহŸান করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
২০১৯ সালে সদর হাসপাতালের কাপড়-চোপড় ধোলাইয়ের ঠিকাদার নাদিম এন্টারপ্রাইজ করোনাকালীন সময়ে তার ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে এবং বাড়ানোর দাবি করে মামলা করে। সেই মামলায় স্থগিত থাকে। এর সুত্র ধরেই ২০১৯ সাল থেকে কাপড়-চোপড় ধোপা কাজের সাথে মনোহরি ও খাদ্যের রেট ২০১৯ সালে চলমান ১২৫ টাকাই বহাল থাকে। জেলার রাজাপুর, কাঠালিয়া ও নলছিটি উপজেলার পক্ষ থেকে দায়ের এই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করা হয় এবং আপিলে রোগীদের জন্য দৈনিক খাবার তালিকায় ১৭৫ টাকা হারে খাবার বরাদ্দ থাকে। কিন্তু ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে আপিল মামলার সুত্র ধরে রোগীদের ১৭৫ টাকা হারে খাবারের টেন্ডার আহŸান করা হচ্ছে না।