ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে শ্রমিকদলের এক নেতাকে আ’লীগ কর্মী আখ্যা দিয়ে তার দোকান ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার বিচার দাবিতে বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ওই শ্রমিকদলনেতার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম। তার বোনের ছেলে হৃদয় হোসেন তলাম লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান।
লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী মো: আফজাল গাজী বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের রাজাপুর থানার গালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহসভাপতি। পেশাগত ভাবে একজন ব্যবসায়ী ও বৈদ্যুতক মেকার। উপজেলার বড় কৈবর্ত্তখালী গ্রামের বরিশাল ভান্ডারিয়া মহাসড়কের পূর্ব পাশে গাজী বাড়ী ষ্টান্ডে তাদের বসত ঘর সংলগ্ন একটি দোকান রয়েছে।
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই গ্রামের একটি কুচক্রিমহল, যাদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরা আফজাল গাজীকে আওয়ামী লীগ কর্মী আখ্যা দিয়ে গত ০৬ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে তার দোকানটি পেট্রাল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ওই দিন আফজাল রাতের খাবার খেয়ে দোকানে ঘুমিয়ে ছিল। তার স্ত্রী পিছনের বসত ঘরে নামাজরত ছিলাম। আনুমানিক ২ টার দিকে আসামীরা দোকানে ঘুমিয়ে থাকা আফজালকে কিল ঘুষি ও লাথী মারিয়া দোকান থেকে বের করে এরপরে প্রায় ১ ঘন্টা পর্যন্ত দোকানে ধ্বংশলীলা চালায়। আসামীদের দেওয়া আগুনে দোকানের সব মালামাল পুরে সম্পুর্ন ছাই হয়ে যায়।
দোকানে মেরাতের জন্য বৈদ্যুতিক ফ্যান, টিভি ও ফ্রিজ ছিলো। এছাড়া বিক্রির জন্য বৈদ্যুতিক তার, লাইট, নতুন টিভি ও ফ্যান ছিলো। এগুলো সবকছিুই আগুনে পুড়ে যায়।
জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় একই গ্রামের এমরান হাওলাদার মিজানুর রহমান হাওলাদার রুবেল হাওলাদার , হেমায়েত হাওলাদার সহ ১০/১২ জন মিলে এই ধ্বংশলিলায় অংশ নেয়।
এই ঘটনায় মঞ্জুরা বেগম গত ০৩ সেপ্টেম্বর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য রাজাপুর থানাকে দায়িত্ব দেয়। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে।
আসামীরা অত্যান্ত অর্থশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় মঞ্জুরা বেগম ও স্বামী আফজাল গাজী বর্তমানে হুমকির মধ্যে রয়েছে তারা এলাকায় যেতে পারছে না।