ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার দিবগত রাত ৯ টা পর্যন্ত ৪টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে ১টি অবতারন কেন্দ্র, ৪টি মাছঘাট, ২৩টি আড়ৎ এবং ২২টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযানে ১১৪ কেজি ইলিশ মাছ এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে যার মূল্য ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
১জনকে জেলেকে আইন অমান্য করার দায়ে ১ বছরের জেল প্রদান করা হয়েছে। জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এই অভিযানে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সাহিনা ফেরদৌস নেতৃত্ব দেন। এসময় ঝালকাঠির জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঝালকাঠির ইনচার্জ মেজর শাহারিয়া, জেলা মৎস্য অফিসার রবিউল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ ফকরুল ইসলাম, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীব চন্দ্র দত্ত, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইয়াসমিনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার সুগন্ধা বিষখালীর ৬৭কিলোমিটার নদী পথে এবং , বাজার, আড়ৎ এলাকায় চলমান ১২দিনের অভিযানে এ পর্যন্ত ৪৩টি মোবাইল কোর্টের আওতায় ১০৮টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার আওতাধীন সুগন্ধা ও বিষখালী নদী ও ১৫টি অবতারন কেন্দ্র, ৬৪টি মাছ ঘাট ও ২১৭টি আড়ৎ ও ২৪৩টি বাজারে অভিযান পরিচালনা হয়েছে। ৩১৯ কেজি মাছ জব্দ করে বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে। ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ মিটার জাল এসময় জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। যার মূল্য ৮৭ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। ২জন জেলেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও ৩জন জেলেকে কারাদÐ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা মৎস কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন এক শ্রেণির মৌসুমী জেলেরা অভিযানের ফাকে ফাকে মাছ শিকার করে। মৌসুমি জেলেরা এ ক্ষেত্রে বেপরোয়া আচরণ পোষন করেন কিন্তু এরা প্রকৃত জেলে না। এই সময় এই শ্রেণির জেলেরা চোরাগুপ্তাভাবে মাছ আহরণ করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে।