ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঝালকাঠি জেলায় অধিকাংশ কোরবানির পশুর হাট বসেছে। তবে, করোনার প্রভাবে এবারে কম কোরবানির পশুর সংখ্যা। ক্রেতারা বলছেন, আর্থিক সমস্যার কারণে এবার অনেকেই কোরবানির পশু কিনতে পারছেন না। আবার কেউ এককের স্থলে ভাগে কোরবানি দিতে চাচ্ছেন।
রোববার (১৮ জুলাই) ঝালকাঠি জেলায় তেমন কোনো পশু বেচাকেনার হাট জমে ওঠেনি। বিক্রেতারা বলছেন, এ দিন বিকেল থেকে সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে মূলত হাট জমবে। ঈদের ২/১ আগেই হাটে উপচেপড়া ভিড় থাকে। এবছরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা পশুর সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় চিতলমারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা গরুর সংখ্যাই বেশি। চিতলমারী থেকে ঝালকাঠির বিকনা গরুর হাটে আসা পাইকার মাহবুব শেখ জানান, তিনি প্রথম ১৩টি গরু এনেছেন। আরও বেশ কিছু গরু পথে রয়েছে। তবে, চাহিদা বাড়লে গরুর সংখ্যা আরও বাড়বে। করোনার মধ্যেও স্থানীয় গরুর সংখ্যা অনেক কম থাকায় এ বছর গরুর দাম ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রেতাদের অভিযোগ চাহিদার তুলনায় কম পশু আমদানি দেখিয়ে দাম অনেক চড়ানো হচ্ছে। এক ক্রেতা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম অনেক বেশি রয়েছে। তবে,পাইকাররা বলছেন, বছরে বছরে গো-খাদ্য ও পরিবহন খরচ বাড়ায় তার সঙ্গে হিসাব কষেই পশুর দাম বাড়ছে। কিন্তু যেটা বেড়েছে সেটা তুলনামূলক অনেক বেশি নয়।
এদিকে হাটের ইজারাদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম নেই, আর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজন হলে আরও গরু হাটে নিয়ে আসা হবে। বিকনা গরুর হাটের ইজারাদারের আব্দুল হাই জানান,গরু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হবে। তবে, ২ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা খাজনা নেওয়া হয়। এদিকে গরুর হাটগুলোতে জাল টাকা ধরার মেশিন বসানো হয়েছে। পুলিশ, আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। র্যাব সদস্যরা হাটে হাটে টহল দিচ্ছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সরোয়ার হাসান জানান, জেলার প্রতিটি হাটে তাদের টিম রয়েছে। কেউ হাটে এসে যদি কোনো ধরনের অসুস্থবোধ করেন তাহলেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।