ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি-১ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর বীর উত্তমসহ ৬২জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মী বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেসব সুমন বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম মোঃ মনিরুজ্জামান অভিযোগ গ্রহন করে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রাথমিক তদন্ত কয়ে আইনগত ব্যববস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগষ্ট সকাল ১১টায় শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের এক বিশাল মিছিল
বেড় করে। মিছিলটি ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর রোনালস রোড বাস ভবন অতিক্রম কালে বাড়ীর মধ্য থেকে বেড় হয়ে আসামীরা আগ্নেঅস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আসামীরা ব্যাপক গুলিবর্ষন ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে এলাকা জুড়ে আতংক জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এসময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অসংখ্য নেতাকর্মীরা আহত অবস্থায় ছত্রভংগ হয়ে যায়। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গেলে আসামীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে চিকিৎসা গ্রহনের বাধা প্রদান করে।
মামলায় আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ছাড়াও ফকরুল মজিদ কিরন, ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন, কাউন্সিলর তরুন কর্মকার, কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, কাউন্সিলর কামাল শরীফ, সৈয়দ মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালীসহ নামধারী ৬২জন ও অজ্ঞাত ৫০/৬০জনকে আসামী করা হয়। বাদীর পক্ষে এড. আল মাহবুব হোসেন আদালতে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেসব সুমন জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ১দফা দাবী আদায়ে ৪আগষ্ট সকালে মিছিল বেড় করে। সেই মিছিলে আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের নির্দেশে আসামীরা আগ্নেঅস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে আমরা অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে। সেই ঘটনার সুষ্ঠু ও কঠোর বিচারের দাবীতে আমি এ মামলা দায়ের করেছি।