বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রতি সম্মান জানাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তবে এই উদ্যোগ বয়কট করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
প্রথাগতভাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কোনো দেশের ক্ষমতাসীন নেতা মারা গেলে তার প্রতি সম্মান জানানো হয়। এ উদ্যোগের অংশ নিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বক্তব্য রাখবেন সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনোভাবেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবো না।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বয়কটের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের কূটনীতিক মিশনের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।
গত ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
ঐ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের উচিৎ কয়েক দশক ধরে ইরানকে শোষণকারী এই নেতাকে স্মরণ না করে বরং দেশটির জনগণের পাশে দাঁড়ানো। রাইসি অসংখ্য ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে আছে ১৯৮৮ সালে হাজারো রাজনৈতিক বন্দিকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা।
রাইসির মৃত্যুর পর ২০ মে ভিন্ন প্রসঙ্গের এক বৈঠকের শুরুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড অনিচ্ছাসত্ত্বেও বৈঠকের বাকি ১৪ অংশগ্রহণকারীর পাশে দাঁড়িয়ে এই উদ্যোগে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা রাইসির মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশ করেছে। ২০ মে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি জানান, প্রশ্নাতীতভাবে বলা যায়, তিনি এমন এক মানুষ ছিলেন যার হাতে ছিল অনেক মানুষের রক্ত।
ইরানের প্রতি শোক প্রকাশ করে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিরাগভাজন হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন রাইসি।