সারাদেশে দিনব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
অবরোধের আগের রাতে রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এরপর অবরোধসহ টানা চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ করছি। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।
এর পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত ‘লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে’ আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারে পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা; অবাধ-সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের চলমান আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আমাদের এই কর্মসূচি।