যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের অবিলম্বে মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। গতকাল বৃহস্পতিবার আইসিজের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে এ নির্দেশ দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আইসিজে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক এই আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো— গাজার ফিলিস্তিনিরা আর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে নেই, বরং ইতিমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।
আদেশে আরও বলা হয়, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার, পানি ও বিদ্যুতের পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও চিকিৎসাসেবাসহ মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে গাজায় রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আইসিজেতে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার অধীনে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দেশটি। জানুয়ারিতে আইসিজে অন্তর্বর্তী আদেশে ইসরায়েলকে গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন যেকোনো ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং দেশটির সেনারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যাতে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবারের আদেশে আদালত জানুয়ারির পদক্ষেপের বিষয়গুলো আবারও উল্লেখ করেছেন।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়া গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যূত।