যান্ত্রিক জীবনে সুস্থতার বড্ড প্রয়োজন। কেননা খাদ্যভাসের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্নায়ুর ক্ষতির মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাবারে যেমন কোলেস্টেরল বাড়ায়, তেমন খাবারেই আবার মেলে এর থেকে সমাধান।
তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে রক্তের শিরা-উপশিরায় কোলেস্টেরল জমার কারণে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে না, যা অনেক রোগের কারণ। শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয় এবং ওষুধ খেতে হয়।
কিন্তু এমন কিছু ভেষজ আছে যা আপনাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আর এইসব খাবারগুলো আমাদের চারপাশেই পাওয়া যায়। যেমন…
> অলিভ অয়েল: স্বাস্থ্যের জন্য অলিভ অয়েল খুব ভালো। মনে করা হয়। জলপাই তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল নিয়ে গবেষণায় জানা গেছে যে নিয়মিত এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
> আদা: আদাকে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ সমৃদ্ধ বলা হয়, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত এক টুকরো আদা খেলে অনেক রোগ সংক্রমণ ও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
> আমলকি: ভিটামিন, ফাইবার, ফোলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফসফরাস এবং আয়রনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান আমলকিতে পাওয়া যায়। নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, আমলকি জুস, আমলকি জ্যাম এবং আমলকির চাটনির মতো খাবার আপনার তালিকায় রাখতে পারেন।
> তুলসী পাতা: তুলসী পাতাকে বলা হয় জেনয়ল সমৃদ্ধ, যে উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় তুলসী পাতার চা এবং তুলসী পাতার মিছরি রাখতে পারেন।
> মেথি বীজ: মেথি বীজ ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অনেক রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন মেথি বীজ ভেজানো পানি পান করতে পারেন বা সবজিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তবে অবশ্যই আপনার যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন এবং বাহিরের খাবার ও ভাজাপোড়া থেকে বিরত থাকুন।