বিনোদন ডেস্ক:
বারবার আবেদন করেও জামিন পাননি মাদক মামলায় কারাবন্দি আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টার রজনীগন্ধা ভবনেই দিন কাটছে তার। সকল আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। এই নায়িকার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, এর পরদিন সকালেই পরীমনির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তার শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেন। এরপর কারা কর্মকর্তারা রেজিস্টারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান। এসময় বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে ‘ভুল’ তথ্য দেন এই চিত্রনায়িকা।
এক কারা কর্মকর্তা পরীমনির কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এ ছাড়া এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’
কারা কর্মকর্তারা তাকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দি হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’ এরপর তার নাম ও মা-বাবার নামের পর জিজ্ঞেস করে জানতে চান, তিনি বিবাহিত না অবিবাহিত? পরীমনি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এ তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, যদি তিনি নিজেকে বিবাহিত বলতেন, তাহলে পরের প্রশ্ন আসত—তার স্বামীর নাম কী। স্বামীর নাম বলার পর আসতো ছেলে-মেয়ে আছে কি না ইত্যাদি। হয়তো এই কারণেই পরীমনি নিজেকে ‘অবিবাহিত’ দাবি করেছেন।
গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়। এ মামলায় এর আগে দুই দফায় ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তিন দফা রিমান্ড শেষে গত ১৩ অগাস্ট পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।