আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তান থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের উদ্ধার করতে যাওয়া একটি বিমানকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছিনতাই করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ইউক্রেনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিনের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা টেলিগ্রাফ এজেন্সি অব দ্য সেভিয়েন ইউনিয়ন (তাস) এ খবর জানিয়েছে। ওই খবরে বিমানটি ছিনতাই করা হয়েছে দাবি করে ইয়েভগেনি বলেন, ঘটনার নেপথ্যে কে রয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে, বেশ কয়েকজন সশস্ত্র অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বিমানটিকে ইরানে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, গত রোববার (২২ আগস্ট) আমাদের দেশের একটি বিমান ছিনতাই করা হয়েছে। মঙ্গলবার এটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বিমানে থাকা যাত্রীরা ইউক্রেনের নাগরিক কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, ঘটনার পর ইউক্রেনের নাগরিকদের উদ্ধার করতে তিনবার প্রচেষ্টা চালালেও তা সফল হয়নি, কারণ কাবুলে অবস্থানরত ইউক্রেনের নাগরিকরা বিমানবন্দরেই পৌঁছাতে পারেননি। অন্যদিকে, উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, বিমানটি কিয়েভে যাওয়ার পথে কেবল জ্বালানি ভরতে ইরানের মাশহাদ শহরে থেমেছিল।
একইভাবে বিমান ছিনতাইয়ের কথা অস্বীকার করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। বিমানটি উদ্ধার করতে ইউক্রেন সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা এবং কাবুলে থাকা ইউক্রেনিয়রা দেশে ফিরেছে কিনা সে সম্পর্কেও কিছু জানাননি ইয়েভগেনি। তবে, গত রোববার ৩১ জন ইউক্রেনিয় নাগরিকসহ ৮৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি সামরিক বিমান কিয়েভে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর। এদের মধ্যে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১২ সদস্যসহ সাংবাদিক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। এখনও একশ’রও বেশি ইউক্রেনিয় নাগরিক আফগানিস্তান থেকে বের হওয়ার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছে তারা।
জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান কর্তৃক আফগানিস্তান দখল হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখান থেকে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। এরিমধ্যে সেখান থেকে আফগান নাগরিকসহ প্রায় আটচল্লিশ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে বিদেশিদের চলে যাওয়ার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে তালেবান নেতারা। উল্লেখ্য, গত বছর ইরানে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কোর ইউক্রেন এয়ারলাইনসের একটি বিমানে হামলা করলে সব যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।