কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা চিংড়াখালী গ্রামের রুহুল আমিনকে (৫০) আপন ভাই ফিরোজ হাওলাদারকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদÐ প্রদান করেছে আদালত।
রুহুল উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে আজ বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথিসূত্রে ও বেঞ্চ সহকারী মাসুদ পারভেজের সাথে কথা বলে যাসা যায় ইতিপূর্বে কাঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংক শাখার মাঠকর্মী মোঃ মজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে যাবৎজীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল রুহুল আমিন। ভাই হত্যা ঘটনার ৯মাস পূর্বে সাজাভোগ করে সে গ্রামের বাড়িতে আসে।
ভাই-বোনদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় গত ২৩/৯/২০২২ তারিখ তার ভাই ফিরোজ হাওলাদার ঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাঁধা দেয় একই দিন সন্ধ্যায় ফিরোজ হাওলাদারের উপর রুহুল আমিন দাও দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ফিরোজ হাওলাদারকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজকে প্রথমে কাঠালিয়া হাসপাতালে পরে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির করার পরে ঐদিনই রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বাদি হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামী রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইউম বাহাদুর ২০/০১/২০২৪ তারিখ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত ১২জন স্বাক্ষীর সাক্ষ গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাসিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা বলা হয়।
মামলার বাদী রানী বেগম জানান, এ রায় আমরা সন্তেষ্ট, দ্রæত রায় কার্যকারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
রাস্ট্র পক্ষে পিপি মো. মাহেব হোসেন ও আসামী পক্ষে খান শহিদুল ইসলাম মামলা পচিালনা করেন।