জনতার খবর ডেক্সঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান এর সমর্থকরা হামলা করে পরাজিত প্রার্থী ফারুকের সমর্থকের উপর।
এ ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত এবং নিহতের মা, বাবা, ভাই ও চাচাসহ ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা কাঠালিয়ার আমুয়া ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতের মা শাহনাজ পারভীন, বাবা শাহ আলম লাল মিয়া ও প্রতক্ষদর্শীরা জানান- স্থানীয় কেরাত আলী মাদ্রাসার সামনে বিজয়ী মেম্বর মজিবুর রহমানের সমর্থকরা ২২ জুন দিবাগত রাতে আনন্দ উৎসব করার সময় পরাজিত প্রার্থী মোঃ ফারুকের এক সমর্থক মোঃ হোসেন নামে একজনকে বেঁধে রাখে, তাকে উদ্ধারের জন্য লোকজন জড়ো হলে মজিবুরের লোকজন রামদা, দাও নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত শাহ আলম ওরফে লাল মিয়ার পুত্র বাগেরহাট পিসি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র মোঃ আরিফ (২২) বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২৩ জুন গভীর রাতে মারা যায়। নিহত আরিফের মা শাহনাজ পারভীন, বাবা লাল মিয়া বড় ভাই সফিকুল ইসলাম, চাচা ইব্রাহিব ও সোহরাব আহত হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর একজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যরা আমুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আজ দুপুরে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান- হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয় কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ রায় জানান, ঘটনার পর আমিসহ পুলিশের একটি দল সরারাত ঐ এলাকায় অবস্থান করি এবং সন্দেহে জনক বাড়ীগুলোতে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করেছি।
এর মধ্যে আমুয়া হাসপাতালে একজন পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত কলেজ ছাত্রের মরদেহ বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পোষ্ট মর্ডাম শেষে আজ দুপুর বা বিকাল নাগাদ কাঠালিয়ায় নিয়ে আসা হবে।