জনতার খবর ডেক্সঃ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করতে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা হবে। আরও আগেই হয়তো কমিশন গঠন হয়ে যেত। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে এলে কমিশন গঠন করব।’
তিনি জানান, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে।
রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয়, সকলের ন্যাক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
আইনমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, ‘পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহঙ্কার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কী জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শদীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদসহ নিবন্ধন অধিদফতরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।