ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার। জবরদখলকারীদের হাত থেকে বসত বাড়ি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার আগলপাশা গ্রামের দুলাল বেপারী এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে দুলালের বাবা আব্দুর রব বেরাপী ও চাচা নূরে আলম বেপারী।
দুলাল বেপারী অভিযোগ করেন, আগলপাশা গ্রামের মহসিন বাকলাই, তাঁর ভগ্নিপতি তৌহিদুল দুয়ারি ও শাহাদাৎ দুয়ারির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তাঁর দাদা কালু বেপারী ১৯৫৯ সালে ঝালকাঠির আগলপাশা মৌজায় নিলামমূলে এক একর পাঁচ শতাংশ জমি কেনেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক হয়েছেন বাবা ও চাচারা। জমির এসএ রেকর্ড, খাজনার দাখিলা ও হোল্ডিং ট্যাক্স তাদের নামেই। ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট ডিক্রীমূলে জমির নাম পত্তন করে বাড়িঘর, পুকুর ও বাগান করে ভোগ দখল করে আসলেন তাঁরা।
দুলাল বেপারী অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় মহসসিন বাকলাই, তৌহিদুল দুয়ারি ও শাহাদাৎ দুয়ারি আমাদের সম্পত্তির বাগান ও পুকুরের জায়গা দখল করার পায়তারা করছিল। গত ৩০ মে বিকেলে তাঁরা ৮-১০ জন লোক নিয়ে নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় জমিতে প্রবেশ করে। বাল্কহেড বোঝাই বালু দিয়ে আমাদের পুকুর ভরাটের চেষ্টা করে। আমরা তাতে বাধা দিলে তারা চলে যায়। এসময় শাহাদাৎ ও তৌহিদ জনসম্মুখে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাঁরা বলেন, সুযোগ পাইলে তোগো কোপাইয়া টুকরা টুকরা করে সব জমি দখল করব। এখন শুধু বালু ফালাইলাম মাত্র।
এ ঘটনায় গত ৬ জুন আমার ছোট চাচা মো. নূরে আলম বেপারী ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অবৈধ প্রবেশের ওপর স্থিতিবস্থার আদেশ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। এ নিয়ে ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনালেও মামলা চলমান। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ঝালকাঠি থানার ওসিকে আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তৌহিদুল ইসলাম দুয়ারি, তাঁর ভাই শাহাদাৎ দুয়ারি, মহসিন বাকলাই গত ৮ জুন রাতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল বাহিনী নিয়ে আমার ভোগদখলীয় বসত ঘরের সামনে ২৫ ফুট বাই ১০ ফুট একটি কাঠের ঘর তৈরি করে। এতে আমাদের স্বাভাবিক চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়ে বাধা দিতে সাহস পাইনি। তাঁরা বিভিন্ন সময় পথেঘাটে নানা ধরণের ভয় দেখাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এ বাহিনীর হাত থেকে বসত বাড়ি ও জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।